বছরে আমরা ছয়টি ঋতু দেখতে পাই। যেমন— গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত এবং বসন্ত।
প্রশ্ন : ঋতু পরিবর্তন কেন হয় ?
কাজ : দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্য
কী করতে হবে:
১ . পৃথিবীর নমুনা স্বরূপ একটি ভূগোলক, দাগ মুছে ফেলা যায় এমন মার্কার, পরিমাপক ফিতা এবং সূর্যের নমুনা স্বরূপ একটি উজ্জ্বল টর্চ নেই ।
২. নিচের ছকটির মতো খাতায় একটি ছক তৈরি করি।
ক টর্চের অভিমুখে উত্তর মেরু | খ টর্চের বিপরীতে উত্তর মেরু | |
---|---|---|
দিনের দৈর্ঘ্য (সে.মি.) | ||
রাতের দৈর্ঘ্য (সে.মি) |
৩. মার্কার দিয়ে ভূগোলকের উপর বাংলাদেশ বরাবর গোল করে একটি দাগ দিই ।
৪. একটি টেবিলের উপরে টর্চটি রাখি ।
৫. ভূগোলকটি ছবি ক-এর মতো করে রাখি।
৬. ফিতা ব্যবহার করে দাগ বরাবর দিন এবং রাতের গোলীয় অংশের দৈর্ঘ্য মাপি এবং পরিমানটি ছকে লিখি ।
৭. ভূগোলকটি ছবি খ-এর মতো করে রাখি ।
৮. ফিতা ব্যবহার করে দাগ বরাবর দিন এবং রাতের গোলীয় অংশের দৈর্ঘ্য মাপি এবং তা ছকে লিখি ।
৯. কাজটি নিয়ে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করি।
পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণন এবং সূর্যের দিকে এর হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত দিকে সরে পড়ে।
গ্রীষ্মকাল
যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন গ্রীষ্মকাল। এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এসময় দক্ষিণ গোলার্ধে উলটা ব্যাপারটি ঘটে। সেখানে তখন শীতকাল ।
শীতকাল
যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের বিপরীত দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন শীতকাল। এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য তীর্যকভাবে কিরণ দেয়। ফলে দিনের চেয়ে রাত বড় হয় এবং তাপমাত্রা হ্রাস পায় ।
আরও দেখুন...